পলিটিকোর মতো রাজনীতির বুঝদার আর কেউ নেই। নিজেদের সম্পর্কে এমন সেøাগানই সামনে রাখে মার্কিন এই গণমাধ্যমটি। তারা গতকাল বিশেষ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার গোপন অস্ত্র হিসেবে ইউটিউবকে কাজে লাগাচ্ছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে ফেসবুককে ব্যবহার করে খানিকটা ‘অপ্রত্যাশিতভাবে’ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন এই রিপাবলিকান নেতা। অপ্রত্যাশিত এই কারণে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ পপুলার ভোট কম পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজের কল্যাণে ক্ষমতায় আসীন হন ধনকুবের ট্রাম্প।
পলিটিকো লিখেছে, ২০১৬ সালে ট্রাম্পের শিবির প্রচার হাতিয়ার হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করেছিল, হিলারিকে হারাতে যা সাহায্য করেছিল তাদের। কিন্তু অনেকেই বিষয়টা সেভাবে খেয়াল করেনি। এবার ট্রাম্পশিবির বড় নজর দিয়েছে ইউটিউবে।
পলিটিকো বলছে, ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলে কী নেই- বাছাই করা সব সংবাদ, প্রচার বিজ্ঞাপন ও ওয়েস শো। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের ছোট্ট ছোট্ট ক্লিপ উপলোড করা হচ্ছে তার নির্বাচনী চ্যানেলটায়। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের মতো ইতিবাচক বা ট্রাম্প প্রশাসনের সাফল্যের খবরও থাকছে সেখানে। ‘ডোন্ট লেট
এ রকম কড়া নেতিবাচক বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ট্রাম্পের চ্যানেলে রয়েছে ‘ব্ল্যাক ভয়েসেস ফর ট্রাম্প : রিয়াল টক অনলাইন!’ এবং ‘দ্য রাইট ভিউ’।
ভিডিওবার্তার জন্য ইউটিউব ও গুগল ভিডিও প্ল্যাটফরম ব্যবহার করছে ট্রাম্পশিবির। পলিটিকোর তথ্যমতে, ডেমোক্র্যাটরা এই দুই আঙিনায় এখন পর্যন্ত পুরো প্রচার সময়ে মোট ব্যয় করেছে তিন কোটি ডলার। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রচারশিবির শুধু জুলাই থেকে ব্যয় করেছে তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার। এখন অবধি মোট প্রচারকাজে ইউটিউব ও গুগলে তারা সাড়ে ছয় কোটি ডলার ঢেলেছে।
ইউটিউবে ‘ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামের চ্যানেলটিতে গতকাল রাত সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মোট গ্রাহক (সাবস্ক্রাইবার) ছিলেন অন্তত ৯ লাখ ৯৮ হাজার। তবে মজার বিষয় হলো, ‘ডোন্ট লেট দেম রুইন আমেরিকা’ ভিডিওটি ৭৩ লাখ লোক পছন্দ (লাইক) করেছেন এবং তা অপছন্দ করেছেন ৭২ হাজার জন।
শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের ইউটিউব অস্ত্র কাজে লাগবে তো?
Leave a Reply